কিন্তু যোনা সদাপ্রভুর সম্মুখ হইতে তর্শীশে পলাইয়া যাইবার নিমিত্ত উঠিলেন; তিনি যাফোতে নামিয়া গিয়া, তর্শীশে যাইবে এমন এক জাহাজ পাইলেন; তখন জাহাজের ভাড়া দিয়া সদাপ্রভুর সম্মুখ হইতে নাবিকদের সহিত তর্শীশে যাইবার জন্য সেই জাহাজে প্রবেশ করিলেন।
তখন জাহাজের অধ্যক্ষ তাঁহার নিকটে আসিয়া কহিলেন, ওহে, তুমি যে ঘুমাইতেছ তোমার কি হইল? উঠ, তোমার ঈশ্বরকে ডাক; হয় ত ঈশ্বর আমাদের বিষয় চিন্তা করিবেন, ও আমরা বিনষ্ট হইব না।
পরে নাবিকেরা পরস্পর কহিল, আইস, আমরা গুলিবাঁট করি, তাহা হইলে জানিতে পারিব, কাহার দোষে আমাদের প্রতি এই অমঙ্গল ঘটিতেছে। পরে তাহারা গুলিবাঁট করিল, আর যোনার নামে গুলি উঠিল।
তখন তাহারা তাঁহাকে কহিল, বল দেখি, কাহার দোষে আমাদের প্রতি এই অমঙ্গল ঘটিতেছে? তোমার ব্যবসায় কি? কোথা হইতে আসিয়াছ? তুমি কোন্ দেশের লোক? কোন্ জাতীয়?
তখন সেই লোকেরা অতিশয় ভীত হইয়া তাঁহাকে কহিল, তুমি এ কি কর্ম্ম করিয়াছ? কেননা তিনি যে সদাপ্রভুর সম্মুখ হইতে পলাইতেছেন, ইহা তাহারা জ্ঞাত ছিল, কারণ তিনি তাহাদিগকে বলিয়াছিলেন।
তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, আমাকে ধরিয়া সমুদ্রে ফেলিয়া দেও, তাহাতে সমুদ্র তোমাদের পক্ষে ক্ষান্ত হইবে; কেননা আমি জানি, আমারই দোষে তোমাদের উপরে এই ভারী ঝড় উপস্থিত হইয়াছে।
তথাপি সেই লোকেরা জাহাজ ফিরাইয়া ডাঙ্গায় লইয়া যাইবার জন্য ঢেউ কাটিতে যত্ন করিল; কিন্তু পারিল না, কারণ সমুদ্র তাহাদের বিপরীতে উত্তরোত্তর প্রচণ্ড হইয়া উঠিতেছিল।
এই জন্য তাহারা সদাপ্রভুকে ডাকিতে লাগিল, আর বলিল, বিনতি করি, হে সদাপ্রভু, বিনতি করি, এই ব্যক্তির প্রাণের নিমিত্ত আমাদের বিনাশ না হউক, এবং আমাদের উপরে নির্দ্দোষের রক্ত অর্পণ করিও না; কেননা, হে সদাপ্রভু, তুমি আপন ইচ্ছামত কর্ম্ম করিয়াছ।